হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ.-এর কারামত
হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ.-এর কারামত
বালকের হৃদয়ে আগুনের স্পর্শ
একদা হযরত মিঞা নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ. গর্দান ঝুঁকিয়ে মোরাকাবায় বসা ছিলেন। মুরীদানরা ছিল তার সামনে বসা। এই মজলিস দেখে কতিপয় বাচ্চার মাথায় দুষ্টুমী করার খেয়াল চাপল। তাই তারা একজন পীর হয়ে গর্দান ঝুঁকিয়ে উপবিষ্ট হলো এবং অন্যরা তার সামনে মুরীদদের মত বসল । এক লোক হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ. কে বলল, হযরত! কিছু ছেলে আপনার মজলিসকে নকল করেছে। তা এভাবে যে, তাদের একজন পীর হয়েছে আর অন্যরা তার সামনে মুরীদদের মত বসেছে। একথা শুনে হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ. বাচ্চাদেরকে ডেকে আনলেন। বললেন,তোমাদের মধ্যে পীর হয়েছে কে? তখন বাচ্চারা একটি ছেলেকে দেখিয়ে বলল, সে পীর হয়েছে।
হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ. ঐ বাচ্চাটিকে বললেন, তুমি বসো। আর বাকীরা সবাই চলে যাও। সবাই চলে গেলে তিনি বাচ্চাটিকে বললেন, তুমি চক্ষু বন্ধ করো। ছেলেটি চক্ষু বন্ধ করল এবং সাথ সাথে চিৎকার করে উঠে কাঁপতে শুরু করল।
হযরত মিয়াজী নূর মুহাম্মদ ঝাঞ্জানবী রহ. তাকে বললেন, তুমি চিৎকার করলে কেন? বাচ্চাটি উত্তরে বলল, আমি চক্ষু বন্ধ করার পর মনে হলো, আমার অন্তরে যেন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের হৃদয়ের উপর একটি আগুনের অঙ্গার রেখে তা আবার সাথে সাথে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা আমি সহ্য করতে না পারার কারণে চিৎকার করে ওঠেছি।
ঐ ছেলেটি যখন বৃদ্ধ হলো তখন সে বলত- আমার তো এখন এই অবস্থা হয়েছে যে, অন্ধকার রাতে বৃষ্টি-বাদল চলাকালে আমি যদি অন্ধকার কামরায় লেপের নিচেও শুয়ে থাকি তখনও আমি বাহিরের অবস্থা অন্তর চক্ষু দ্বারা দেখতে পাই। ঐ অঙ্গারের আছরের কারণে আমার অন্তরচক্ষু খুলে গিয়েছে।
মালফুজাতে ফকীহুল উম্মত, পৃষ্ঠা ও ৩৬৮)
Lorem Ipsum
 
							 
	 
	 AR
AR				 BN
BN					           EN
EN					           HI
HI