• सूर्योदय का समय: 5:23 पूर्वाह्न
  • सूर्यास्त का समय: 6:28 अपराह्न
info@talimeislam.com +88 01975539999

(তাসাউফ গবেষণা ও গ্রন্থরচনা) অন্যতম মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষক, আধ্যাত্মিক মহাসাধক কুতুব-উল-আকতাব অধ্যাপক (অব:)আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেব (রহ:)

যখন বিজ্ঞান চর্চার উপর না-জায়েযের ফতোয়া ছিল, চশমা ব্যবহারটাকেও জায়েয হবে না বলে মনে করা হতো,গোড়া আলেম ও ভন্ড পীরেদের কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছিল,ঠিক সে সময় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস গবেষণা করে যুগান্তকারী বিজ্ঞানভিত্তিক মহা কিতাবসমূহের মাধ্যমে সমাজ থেকে কুসংস্কার,অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় গোড়ামী বিদূরিত করেছিলেন।

সেই মহা কিতাবসমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এখানে তুলে ধরা হলোঃ

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দাঃ

ইসলামে পর্দা করা ফরজ। প্রতিটি ফরজের ভিতর মানুষের জন্য অশেষ কল্যাণ নিহিত আছে। নর- নারীর অশেষ মঙ্গল সাধনের নিমিত্তেই পর্দা প্রথার প্রচলন করা হয়েছে। আনেকেই ইহাকে অজ্ঞতাবশত নারী জাতীর স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে মনে করে। বস্তুত পর্দা প্রথার অবমাননা করলে কিভাবে সর্বস্তরের মানুষ নিশ্চিত অধঃপতন ঘনিয়ে আসতে পারে, এর বৈজ্ঞানিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং যুক্তিসঙ্গদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এই কিতাবের ভিতর সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সমাজের নর- নারীকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার জন্য ও চরিত্রবান আদর্শ নর-নারীর সুশৃংখল জীবন পরিচালনার দিক নির্দেশনা হিসাবে মনোবিজ্ঞানের আলোকে ১৯৭৮ সালে সমাজকে উপহার দিয়েছেন বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা নামক মহাগ্রন্থটি। বেপর্দা নারীর স্বামীর কি যে সর্বনাশ হয় এবং সে কিভাবে যে অতিসত্ত্বর পুরুষত্ত্বহীন হয়ে পরে তা বিজ্ঞান এবং ডাক্তারী শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে অসংখ্য নর-নারী বেপর্দার বিষাক্ত জীবন থেকে ফিরে এসে পর্দার মাধ্যমে শান্তিময় ইসলামী জীবন বেছে নিয়েছে। এমনকি অনেক হিন্দু ও খৃষ্টান মহিলারা পর্যন্ত বোরখা পরে পর্দা করা শুরু করেছে।

তারানায়ে জান্নাতঃ

তারপর তিনি ১৯৮১ সালে “তারানায়ে জান্নাত” বা বিহিশতের সুর নামক অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের অধ্যাত্মিক গজলের কিতাব প্রকাশ করে মহাকবির পরিচয় দিয়েছেন। যা সালিককে আল্লাহপাকের খুব নিকটে পৌছায়। তারানায়ে জান্নাত স্মরন করিয়ে দেয়, ৯৯৯ সালের দিকে মহাকাব্য শাহনামার লিখক মহাকবি ফিরদৌস ছাহিব, আনুমানিক ১২০৫ সালের “গুলিস্তার” লিখক আল্লামা শেখ সাদী ছাহিব (রহ.) এবং ১২৩৭ সালে “মসনবী শরীফের” লিখক মহাকবি মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী ছাহিব (রহ.) এর মত মুসলিম মহাকবিদের অমর কীর্তির কথা। বিচ্ছেদ বেদনাতুর হয়ে ঝংকৃত, কাব্যিক রসে স্মাত, ছন্দের দ্যোতনায় আপ্লুত অতি উচ্চ পর্যায়ের আধ্যাত্মিক গজলের কিতাব যা সালেককে (সাধক) আল্লাহপাকের খুব নিকটে পৌছায়। এলমে মা’রেফতের উচ্চাঙ্গের তত্ত্ব এই বইটিতে গজল আকারে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।




মহাস্বপ্নঃ

হুযুরপাক (সা.)এর পর সুদীর্ঘ প্রায় ১৫ শত বছর পর তিনিই প্রথম তাঁর লিখিত “মহাস্বপ্ন” নামক কিতাবে

একটি হাদীস শরীফের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ করেছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে। সুর্দীঘ্য দশ বছর নিরলস গবেষণা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞানকে উপহার দিলেন সম্পূর্ন নতুন একটি থিওরী (Man will have never been vanishing and one man divided into cores atom men after death and they can listen and watch with live feelings). “মৃত্যুর পর মানুষ নিঃশেষ হয়ে যায় না, একটি মানুষ কোটিকোটি পরমানু-মানুষে রূপান্তরিত হয় এবং তাঁরা অনুভূতি নিয়েই দেখতে ও শুনতে পায় আবিস্কার করেছেন” যা বিজ্ঞানের মতধারাকে পরির্বতন করবে। মৃত্যুর পর হিন্দুরা পুড়িয়ে, মুসলমান ও খৃষ্টানরা মাটিতে গলিয়ে দিলেও কিভাবে কৃপণ ব্যক্তির বুকে সাপে কামড়ায় তার প্রমান করা হয়েছে। যা ইতিহাসে ইসলামের নাম উজ্জ্বল করে রাখবে। তিনি এই মহা থিওরী আবিস্কার করে আবারও প্রমান করে দিয়েছেন ইসলামের মহা মনীষীদের মাধ্যমেই বিজ্ঞানের সূত্রপাত। এবং এ কিতাব মনে করিয়ে দিয়েছেন ৭৬৮ সালের রসায়নের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান ছাহিবের কথা, যার লিখিত আল-কিমিয়া নামক মহাকিতাব থেকে পরবর্তীতে রসায়নের (Chemistry) জন্ম, তিনিই প্রথম সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি আবিস্কার করেছিলেন। আল-বাত্তানী তিনিই প্রথম ৮৯০ সালে ত্রিকোণমিতির সাইন (sin A), কোসাইনের (cos A) সাথে ট্যানজেন্টের (Tan A) সম্পর্ক আবিস্কার করেছিলেন এবং সর্ব প্রথম ৩৬৫ দিন, ৫ ঘন্টা, ৪৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ট= এক সৌর বছর প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, এবং টলেমীর বহু থিওরী সম্পূর্ন ভুল প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক, ১০১৫ সালের মহাকিতাব “আল কানুন ফি আল তিব্ব”(যা ছিল ১৭৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সমস্ত দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের একমাত্র পাঠ্য বই) এর লিখক আবুল আলী ইবনে সিনার (৩৭০-৪২৮হি./৯৮০-১০৩৭খৃ.)ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ বিজয়ের কথা। একজন নবীন বিজ্ঞানী ও গবেষক মহাস্বপ্ন নিয়ে গবেষণা করে বলেছেন মহাস্বপ্ন নামক মহা কিতাবটি প্রায় ৭০০ বছরের ভিতরে অন্যতম মুসলিম মহাবিজ্ঞানীর আবিস্কার যা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের গতিকে পরির্বতন করবে। উল্লেখ্য ১৯৭৯ সালে মহাবিজ্ঞানী হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আযহারুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব বলেছিলেন “মানুষের আঙ্গুলের একটু অংশ কেটে ফেললে ঐ কাটা অংশ থেকে অসংখ্য মানুষ তৈরী করা সম্ভব, যা প্রায় ২০ বছর পর ক্লোন থিওরীর রুপ নিল এবং ভেরা ডলি সৃষ্টি করা হল, মানুষ সৃষ্টির গবেষণা চলছে”।



জীবন রহস্য ও দেহতত্ত্বঃ (A Philosophy of physiology):

সমগ্র সৃষ্টির ভেতর মানুষের চেয়ে জটিলতম সৃষ্টি আর নেই। চিরদিনই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, মানুষ কি একাই সৃষ্টি হয়েছে। না কেউ তাকে সৃষ্টি করেছে এবং অন্যান্য বিষয়েও। চিন্তারজগতে উপরোক্ত প্রশ্নকে নিয়ে নাস্তিকবাদ এবং অস্তিত্ববাদ দর্শনের ন্যায় দু‘টি বিপরীতধর্মী ভাবধারা যুগ-যুগান্তর ধরে চলে আসছে। মানুষ সকল কিছুর অস্তিত্বকে অস্বিকার করলেও তার নিজের অস্তিত্ব তার নিকট ধ্রুবতারার মতই সত্য। নিজেকে সে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারে

না এবং তার নিজস্ব অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য তাকে কোন প্রকার যুক্তি প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় না। এই জাজ্জ্বল্যমান অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সিষ্টেমগুলোর অস্তিত্ব এবং তাদের নিরবচ্ছিন্ন সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মধারাকেও মানুষ অকপটে স্বীকার করে নিয়েছে। এ সকল স্বীকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সিষ্টেমগুলোকে এই বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসাবে ধরে এগুলোর সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থাপন, সুশৃঙ্খল ও পরিপূরক কর্মতৎপরতার শক্তি ও নির্দ্দেশ কোথেকে প্রাপ্ত হয়, তার উৎস সন্ধানে বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা এবং প্রমাণ পদ্ধতির মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করা হয়েছে। ফিজিওলজি, এনাটমি, বায়োলজি, ইত্যাদির স্থিরকৃত সিদ্ধান্ত গুলোর আলোকে মানব দেহাবয়বের পরিকল্পনা ও গঠনে, দেহস্থিত যন্ত্রগুলোর প্রতিনিয়ত বিচিত্র এবং অপরিহার্য অলক্ষ্যে কাজ করে চলছে, সেই প্রশ্নের জবাব এতে দেওয় হয়েছে। ১৯৮৮ সালে তিনি “জীবন রহস্য ও দেহতত্ত্ব” নামক কিতাবের মাধ্যমে জীব বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ও দর্শণের যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন মহান আল্লাহপাক অতি দয়া করে মানব দেহের ভিতরের নানা জটিল কার্য কিভাবে অনবরত সমাধান করছেন এবং দেহটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মেডিক্যাল সাইন্সের নির্যাস বের করে আল ক্বুরআন শরীফের আলোকে এ কিতাব খানি লিখেছেন। মানব দেহের কোথায় আল্লাহপাক থাকেন তাঁর সঠিক প্রমাণ করা হয়েছে। অনেক নাস্তিক এ কিতাব পড়ে আল্লাহপাকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে।



মা’রিফাতের ভেদতত্ত্ব:

১৯৮৯ সালে “মা’রিফাতের ভেদতত্ত্ব” নামক মা’রিফাতের উচ্চাঙ্গের তথ্য ও দিক নির্দেশনা সম্বলিত কিতাব লিখেন যা চিশতিয়া ছাবিরিয়া তরীক্বার সালিকদের পাঠ্য বই হিসাবে ব্যবহিত হচ্ছে। এ কিতাব নিয়ে ১৯৯৩ সালে বড় বড় আল্লাহর অলী তথা গাযালী (রহ:) এঁর মত তাকেও তথা কথিত ফতুয়াবাজ ‘আলিমরা কাফির ফতোয়া দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আল্লাহর খাঁটি অলীর সাথে বেয়াদবী করার ফলে আল্লাহপাক বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে আইন করে ঐ ফতোয়াবাজ গোঁড়াদের ফতোয়া বন্ধ করে দেন। এদের এহেন কারনে আল্লাহর অলী সাময়িকভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে তিনি ফতোয়াবাজদের সম্পর্কে বলেছিলেন, “আমার ‘ইলম মা‘রিফাতের জ্ঞান প্রকাশ করার দরকার কি? কারো কবরে কেউ যাবে না, যার যার কবরে সে সে যাবে। যার যার মা‘রিফাত সে সে অর্জন করে নেক।



“মহা-ভাবনা” (A philosophy of astronomy): স্বর্ণপদক প্রাপ্ত:

এ গ্রন্থে তিনি মহাবিশ্বের তুলনায় মানুষ কতটুকু, মহাবিশ্বের অনেক অজানা দূর্লভ তথ্য, মানবদেহের বিস্ময়কর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যিকর বা আধ্যাত্মিক মহাসাধনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করেছেন, যার ফলে অনেক অমুসলিমরা ও নিয়মিত যিকর করছে। এ কিতাব সমগ্র বিশ্বে এই প্রথম মহান আল্লাহপাকের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ (The World challenge) করা হয়েছে, যা বিশ্বের নাস্তিকদের মাথা নিচু করে দিচ্ছে। আল্লাহর অস্তিত্ব অনুধাবন ও তাঁর সাথে সরাসরি যোগসূত্র যে সম্ভব; তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সম্বলিত মহাবিস্ময়কর গ্রন্থ এটি। কোরআন শরীফ, হাদিস শরীফ ও বিজ্ঞানের আলোকে আল্লাহপাকের বিশালতা সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে এবং যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে, যে ব্যাক্তি আল্লাহপাকের ইবাদত করে না সে নিকৃষ্ট প্রাণীর চেয়েও অধম। যুগশ্রেষ্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক ধর্মীয় এ মহা কিতাবে মহা সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি জ্যোতিশাস্ত্র (Astronomy), দর্শণ (Philosophy), দেহবিজ্ঞান (Physiology), পদার্থবিদ্যা (Physics), রসায়ন (Chemistry), গণিত (Mathematics) ইত্যাদির আলোকে আলোচনা করেছেন।



ধুম পিপাসা সর্বনাশাঃ

‘ইসলাম’ মানুষের জীবন, স্বাভাব এবং প্রকৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ একটি জীবন বিধান। ধূমপান ইসলামে নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞাটি সম্পর্কে এতকাল কেবল ধর্মীয় আলোকে বিচার বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু এই বইটিতে ধর্ম ভিত্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ শরীর বিজ্ঞানের আলোকে মানব দেহ ও বংশের ওপরে ধূমপান যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ও সর্বনাশ

সাধন করে তা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে আলোচনা করা হয়েছে। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনার ইসলামী নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব ও যথার্থতা প্রমানের সাথে সাথে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানব জাতিকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা শত চেষ্টা করেও এ কু-অভ্যাসের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি কিংবা যারা এখনও নির্বিঘ্নে ধূমপান করে চলছে তাদের এই মহা ক্ষতিকর প্রবণতার অক্টোপাস থেকে পরিত্রানের সহজ বিধান ও বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালে “ধুম পিপাসা” সর্বনাশা কিতাবের মাধ্যমেই প্রকাশ করেছেন কি উপায়ে ধুমপান করলে কোন ক্ষতি হয়না এবং ধুমপান করলে কি সর্বনাশ হয় এবং তা ডাক্তারী শাস্ত্রের মাধ্যমে তা দেখানো হয়েছে। ধুমপান করলে যে ক্ষতি হয়, তা নষ্ট করার নিয়ম এবং ধুমপান কিভাবে ত্যাগ করা যায়, তার

একটি অব্যর্থ উপায় লিখে দেয়া হয়েছে। ইহা বহু পরীক্ষিত।



পীর ধরার অকাট্য দলিলঃ

মহান আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীন আপন পরম সত্ত্বায় তামাম মাখলুকাতকে পরিব্যাপ্ত করে রয়েছেন অনন্তকাল ধরে। তাঁর হাকিকত মা‘রেফত বা যথার্থ পরিচয় লাভ সংক্রান্ত আধ্যাত্মিক জ্ঞান শুধু তাছাওফের কিতাব পাঠ করেই পাওয়া যায় না। আল্লাহয় নিবেদিত প্রাণ তাওয়াক্কুলে মগ্ন তওহীদে পরম বিশ্বাসী আওলিয়া, সুফী, দরবেশ, পীরে কামেল মোর্শেদগণেরে এশক পরিপূর্ণ হৃদয়পটে দানা বেঁধেছে প্রকৃত জ্ঞানের তথা আল্লাহ তায়ালাকে লাভ করার জ্ঞান পদ্ধতি। তাই তাই যুগে যুগে অবিরাম গতিতে ছুটে যান সালেকগণ ও ঈমানদারগণ তাঁদের নিকটে এক অমোঘ আকর্ষণে। এসব আল্লাহওয়ালা কামেলদের নিকটেই মিলে পরম শান্তি, বহু আকাঙ্খিত সেই পরম সত্ত্বার অনুভূতি। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর তাওহীদগত প্রাণ বীর সাহাবাগণের নিকট হতে এবং পরবর্তীকালে, পীরে কামেল ও মোকাম্মেল আওলিয়া সুফী দরবেশগণের পবিত্র স্পর্শে রূহানী শক্তিতে ও দীক্ষায় একদিকে যেমন নফসের এসলাহে রত ছিলেন এবং আছেন লাখো ঈমানদার মানুষের কাফেলা, অন্যদিকে পুরাতন কাল থেকেই অপর একটি প্রশ্নও মানুষের মনে জেগেছে কেন পীর ধরতে হবে? কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের ভিত্তিতে ধর্মীয় ও ব্যবহারিক নিত্য জীবনধারার আলোকে প্রশ্নটির সঠিক উত্তর এই বইটিতে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সুফীবাদের নামকরণে শরীয়ত বিরোধী অনৈসলামিক কর্মে নিয়োজিত পীর নাম ধারী ভন্ডদের ক্রিয়া-কলাপে বিভ্রান্ত মানব সমাজকে হক্কানী আল্লাহওয়ালা পীরের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। বস্তুত প্রকৃত আল্লাহ ওয়ালা হক্কানী পীর মোর্শেদের মাধ্যমেই যে জগতের বরণীয় স্বরণীয় মহাত্মাগণ প্রকৃত জ্ঞানের তথা আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামিনকে কিভাবে লাভ করা যায়। তাঁর সন্ধান পেয়ে ইসলামকে মহান ও অপরূপ মহিমায় উজ্জল করে গেছেন তাঁর অকাট্যতাই নতুন করে তুরে ধরা হয়েছে, সাথে সাথে কি পদ্ধতিতে আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামিনকে লাব করা যায় সে পথ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “পীর ধরার অকাট্য দলিল” লিখে প্রমাণ করেছেন আল্লাহপাকের সান্নিধ্য পেতে হলে একজন হক্বানী পীর অবশ্যই ধরতে হবে। পৃথিবীর যুগশ্রেষ্ঠ সমস্ত আল্লাহর অলীরা সবাই পীর ধরেই মহামনীষী হয়েছেন, সে সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন। অনেকে বলে, পীর ধরার দরকার নেই। এসব কথার সদুত্তর কুর’আন শরীফ থেকে অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে, পীর না ধরলে মানুষ আল্লাহকে চিনতে পারবে না এবং মা’রেফতের জ্ঞান লাভ করতে পারবে না, অবশ্য আল্লাহপাক ইচ্ছে করলে সবই পারেন। পৃথিবীর যুগশ্রেষ্ঠ সমস্ত আল্লাহর ওলীগণ সবাই যে পীর ধরেই মহামনীষী হয়েছেন, সে সম্পর্কে সঠিক আলোচনা করা হয়েছে।

द्वारा डिज़ाइन किया गया मोहम्मद नासिर उद्दीन

hi_INHI