অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ
অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ
১. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে মল, মূত্র, বায়ু, বীর্য, ক্রিমি ইত্যাদি বের হওয়া।
২. নিদ্ৰা গেলে অযূ নষ্ট হয়। (দাড়ানো অবস্থায় কিংবা কোন কিছুতে ঠেস না দিয়ে অথবা নামাযের কোন অবস্থায় ঘুমালে অযূ নষ্ট হয় না)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছাহাবীগণ ইশা’র নামাযের অপেক্ষায় মসজিদে থাকতেন। এমনকি নিদ্রার কারণে তাদের মাথা ঝুঁকে যেত। এরপর তাঁরা নামায পড়তেন, (নতুন) অযূ করতেন না। (সুনানে
আবূ দাউদ: ১/২৬)
৩. বমি হলে বা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অযূ নষ্ট হয়।
অর্থ: ‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বমি হল, তিনি এরপর অযূ করলেন।’ ইমাম তিরমিযী বলেন, ‘অধিকাংশ সাহাবী ও তাবিঈ’র মতামত হল, বমি হলে কিংবা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অযূ নষ্ট হয়। (জামি’ তিরমিযী: ১/১৩)
৪. মহিলাদের ইসতিহাযার রক্ত আসলে অযূ নষ্ট হয়।
৫. শরীরের কোন স্থান হতে রক্ত, পুঁজ, দূষিত পানি গড়িয়ে পরলে।
৬. দাঁতের মাড়ী হতে অধিক রক্ত বের হয়ে থুতু লাল বর্ণ হলে।
৭. উম্মাদ, মাতাল বা অন্য কোন কারণে অচেতন হলে।
৮. উচ্চ:স্বরে হাসলে।
৯. মূত্র পথে ‘মযী’ (রংহীন পিচ্ছিল পদার্থ যা বীর্য নয়) বা ‘অদী’
(প্রস্রাবের সাথে সাদা রংয়ের পদার্থ যা মনীর (বীর্য) মত গাঢ়) বের
হলে অযূ নষ্ট হবে কিন্তু গোসল ফরয হবে না।
সংগ্রহঃ নামায শিক্ষা কিতাব থেকে। লেখকঃ হযরত মাওলানা মুফতি আল্লামা ডক্টর মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী দাঃবা, পীর সাহেব, তালিমে ইসলাম, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ। মূল কিতাবটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
Lorem Ipsum