রাত্রিতে ঘুমাতে যাওয়ার দোয়া ও সুন্নাত(আদব )
* অযু অবস্থায় ঘুমানো সুন্নাত। [ যাদুল মা‘আদ ]
* শয়নের পূর্বে কাপড় দ্বারা বিছানা ঝেড়ে নেয়া সুন্নাত। [ যাদুল মা‘আদ ]
* শয়নের পূর্বে কাপড় পরিবর্তন করে নেয়া সুন্নাত। [ যাদুল মা‘আদ ]
* শয়নের পূর্বে তিনবার করে উভয় চোখে সুরমা দেয়া সুন্নাত। [ বুখারী শরীফ ]
* শয়নের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে নিম্নের কাজগুলো করা সুন্নাত। ১/ ঘরের দরজা বন্ধ করা। ২/ বাতি নিভিয়ে দেয়া। ৩/ খাদ্যদ্রব্যের পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা, পাত্রের ঢাকনা না থাকলে একটি কাঠি বিসমিল্লাহ বলে উপরে রেখে দিলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। [বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ]
* শোয়ার সময় ডান পার্শ্বে কিবলামুখী হয়ে ঘুমানো সুন্নাত। [ বুখারী শরীফ ]
বিছানায় শয়ন করে এ দু‘আ পাঠ করবেঃ
اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া।
হে আল্লাহ! তোমারই নামে মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই নামে জীবিত হব। ((মুসলিম শরীফ, বুখারী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)
এরপর ৩৩বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়বে। এতে পূর্বের দিনের ক্লান্তি দূরীভূত হয়ে যাবে। ( বুখারী শরীফ)
এরপর তিনকুল ( সূরা এখলাস,সূরা ফালাক, সূরা নাস) পড়ে হাতে ফু দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলাবে। মাথা,চেহারা,এবং দেহের সামনের অংশ থেকে শুরু করবে। এভাবে তিনবার আমল করবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
এরপর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে। যে ব্যক্তি শোয়ার সময় বিছানায় শয়ন করে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, আল্লাহ পাক তার এবং তার পার্শ্ববর্তী ঘরগুলো হেফাজত করেন। ভোর পর্যন্ত কোন জ্বীন ও মানব শয়তান কিছুই করতে পারবে না। ( বুখারী শরীফ)
এরপর ইস্তেগফার পাঠ করবেঃ
– أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লা হাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলায়হি।’
এরপর সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে। যাবতীয় বিপদাপদ সকল প্রকার নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ঠ। [বুখারী ৯/৯৪, মুসলিম ১/৫৫৪]
এরপর কাফিরূন পাঠ করবে, এতে শির্ক থেকে সম্পর্কহীনতা বর্তমান। [ সহীহ তারগীব ]