মহান আল্লাহপাকের অস্তিত্ব সম্পর্কে একমাত্র তিনিই প্রথম তাঁর লিখিত “মহা-ভাবনা (A Philosophy of Astronomy)” নামক মহাকিতাবে সমগ্র বিশ্বকে মহান আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ (The World Challenge) করেছেন, যা বিশ্বের নাস্তিকদের মাথা নিচু করে দিচ্ছে। আল্লাহর অস্তিত্ব অনুধাবন ও তাঁর সাথে সরাসরি যোগসূত্র যে সম্ভব; তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সম্বলিত মহাবিস্ময়কর গ্রন্থ এটি। কোরআন শরীফ, হাদিস শরীফ ও বিজ্ঞানের আলোকে আল্লাহপাকের বিশালতা সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে এবং যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে, যে ব্যাক্তি আল্লাহপাকের ইবাদত করে না সে নিকৃষ্ট প্রাণীর চেয়েও অধম। তিনি একজন এমেচার মহাকাশ বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ইং সালে Space Science এর মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে “মহা-ভাবনা” নামক গ্রন্থ লিখেছেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মুসলিম বিজ্ঞানী যিনি আল্লাহর অস্তিত্ব বুঝা সম্পর্কে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ (The World Challenge) করেছেন। যুগশ্রেষ্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক ধর্মীয় এ মহা কিতাবে মহা সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি জ্যোতিশাস্ত্র (Astronomy), দর্শণ (Philosophy), দেহবিজ্ঞান (Physiology), পদার্থবিদ্যা (Physics), রসায়ন (Chemistry), গণিত (Mathematics) ইত্যাদির আলোকে আলোচনা করেছেন। ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ দুটি স্বর্নপদক লাভ করেন।
প্রথমটি: তাঁর লিখিত ‘মহাভাবনা’ গ্রন্থের জন্য ১৯৯৯ সালের ১৩ই মার্চ সমগ্র বিশ্বের প্রায় ২০০ ডক্টরেট ও মুসলিম দার্শনিকগণের মাধ্যমে যুগের শেষ্ঠ রচনা হিসাবে ড. সিকান্দার আলী ইব্রাহীমি ছাহিব কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করেন, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
দ্বিতীয়টি: যুগের শ্রেষ্ঠ রচনা হিসাবে ‘মহাভাবনা’ লিখে স্বর্নপদক পাওয়ায় মানিকগঞ্জবাসী গর্বিতবোধ করে নাগরিক কমিটির পক্ষে সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আবদুল মালেক ছাহিব কর্তৃক ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারীতে স্বর্নপদক প্রদান করেন। এ সময় দেবেন্দ্র কলেজের তাঁর সহকর্মীবৃন্দ, মানিকগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র রমজান আলীসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ডাঃ হারুন-অর-রশিদ সাহেবের (লেকচারার, ডি.এম.সি.) মতে বর্তমান বিশ্বে Modern Astronomy বলতে যদি কিছু থাকে তার নাম হচ্ছে “মহা-ভাবনা”।