তাসাউফ গবেষণা ও কিতাব সমূহ: হযরত মাওলানা মুফতি ড.মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব (দা: বা:)
ড. মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব কর্তৃক লিখিত কিতাবসমূহঃ
১. আল কুরআনুল কারীমের বঙ্গানুবাদ:
তিনি সুদীর্ঘ তিন বৎসর গবেষণা করে ২২ নভেম্বর ২০০৬ ইং সালে প্রতিটি সূরার ভূমিকাসহ “আল কুরআনুল কারীমের বঙ্গানুবাদ” উপহার দেন। প্রায় ১৫০০ বছরের ভিতর এটিই বিশ্বে প্রথম সূরার ভূমিকাসহ আল কুরআনুল কারীমের বঙ্গানুবাদ। যেখানে তিনি প্রতিটি সূরার সহীহ নাম দিয়েছেন এবং নামগুলোও বঙ্গানুবাদ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য বাজারে প্রচলিত প্রায় সকল আল কুরআন শরীফেই সূরার নামে ভুল ছিল। তিনি বাংলাদেশে প্রথম সূরার নাম সহীহ করে লিখেছেন। এটি দেশ বরেণ্য আলিম সমাজ ও জ্ঞানী মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
২. তা‘লিমুল কুরআন:
২০০৭ সালে তিনি তা‘লিমুল কুরআন নামক একটি গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন। যেখানে তিনি আল কুরআনুল কারীমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরার আরবী সহ বাংলা অনুবাদ করে দিয়েছেন। যাতে পাঠক কোন আরবীর কি অর্থ তা একই পৃষ্ঠায় দেখে পড়তে পারে। এ কিতাব তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা লিখে দিয়েছেন। এটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
৩. বিশ্ব তা‘লিমে যিকর (মানিকগঞ্জ দরবার শরীফ):
তিনি প্রায় দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণা করে ২০০৮ সালে সূধী পাঠক মহলকে বিশ্ব তা‘লিমে যিকর নামক আরো একটি গবেষণামূলক কিতাব উপহার দেন। এ কিতাবে তিনি আল ক্বুরআনুল কারীম ও সুন্নাহর ভিত্তিতে বিশ্ব তা‘লিমে যিকর (মানিকগঞ্জ দরবার শরীফ) এর সংবিধান রচনা করেন। এ কিতাবে তিনি আল ক্বুরআনুল কারীমের যিকর সংক্রান্ত সকল আয়াতের বঙ্গানুবাদ করে ব্যাখ্যা করেন। প্রায় ৪৭ টি সূরা থেকে তিনি যিকর সম্পর্কিত আয়াতগুলো লিপিবদ্ধ করেন। তারপর তিনি হাদীসে কুদসী ও সহীহ হাদীস শরীফের আলোকে যিকর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সবশেষে তিনি তাঁর পিতা থেকে অর্জিত চিশতিয়া ছাবিরিয়া তরীকার সবকসমূহ লিপিবদ্ধ করেন। এটি ‘আলিম সমাজে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ কিতাব বিশ্বে যিকরকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করবে
৪. আল্লাহ ভরসা:
২০০৯ সালে তিনি ‘আল্লাহ ভরসা’ নামক আরো একটি কিতাব রচনা করেন। এ কিতাবে তিনি সকল অবস্থাতেই আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করার তাগিদ দিয়েছেন। এতে তিনি আল ক্বুরআনুল কারীমের আলোকে আল্লাহর উপর ভরসা করা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
৫. সুস্থ থাকুন:
এটি তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। একটি মানুষ কোন ওষুধ ছাড়া কিভাবে বিধান প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে সে বিষয়ে নতুন কিছু থিওরী আবিষ্কার করেছেন। এতে তিনি মানবদেহের প্রায় সকল রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। যারা সুস্থ দেহের আধীকারী হয়ে দীর্ঘ দিন যুবক থাকতে চান তাদের জন্য বইটি খুব উপকারী। এ কিতাবটির গবেষণা চলছে। উল্লেখ্য ড. মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব একজন এমেচার চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
৬. দৃষ্টি যখন বাংলাদেশে:
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতজন আল্লাহর অলী এসেছেন এবং ইসলাম প্রচার করেছেন তাঁদের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত গ্রন্থ এটি। এ কিতাবে তিনি বাংলাদেশের সকল দরবার শরীফের পরিচয় তুলে ধরেছেন। এছাড়াও দেশের প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও যারা এদেশের জন্য বিশেষ অবদান রেখে গেছেন তাদের পরিচয় ও সন্নিবেশিত করেছেন। এটি পি.এইচ.ডি গবেষকদের জন্য একটি রেফারেন্স গ্রস্থ হিসেবে ব্যাপক অবদান রাখবে। এটির গবেষণা চলছে।
৭. ইসলামী নাম সম্ভার (নাম নীলিমা):
সমাজে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় অর্থহীন বা বিকৃত অর্থের নামে মানুষের নাম রাখা হচ্ছে যা ক্বুরআন ও সুন্নাহর আলোকের অর্থের বহির্ভূত। অর্থহীন বা বিকৃত অর্থের নামে কারো নাম রাখা ধীরে ধীরে ঐ মানুষটির উপরও ঐ নামের নেতিবাচক প্রভাব পরে এটি আজ বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে বাংলায় একটি কথা আছে ‘নামে নামে যমে টানে’। অর্থাৎ বিকৃত অর্থের নামের ফলাফল বরাবরই ভাল নয়।
সুন্দর নাম রাখার তাগিদ দিয়ে হুযুর (সা:)বলেন, অর্থাৎ ‘‘ হযরত আবূ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলল্লাহ (সা:)বলেছেন, ক্বিয়ামাতের দিন তোমাদের ও তোমাদের পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীন আল ক্বুরআনুল কারীমের সূরা আল আ‘রাফ এর ১৮০ নং আয়াতে বলেন, অর্থাৎ: সুন্দর নামসমূহ আল্লাহরই , তাই সেই নাম সমূহ দ্বারাই আল্লাহকে ডাকো’’।আল্লাহ সুন্দর নামকে পছন্দ করেন তাই সুন্দর নামের মর্যাদা অত্যধিক।
এ কিতাবে আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীনের নিরানব্বইটি নাম, দয়াল নবীজী (সা:) এঁর ৫২টি নাম ও ৫০টি উপাধি, পূর্বেব নবীগণের নাম, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী ৩১৩ জন মর্যাদাবান ছাহাবীর নাম, ৪২ জন মহিলা ছাহাবীর নাম, আল কুরআনুল কারীমের ১১৪টি সূরা থেকে সুন্দর অর্থবোধক নাম এবং আরবী বাংলা ও আধুনিক নাম সমূহ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। কিতাবটি থেকে সূধী পাঠক মহল খুব সহজে তাদের শিশুর নাম রাখতে পারবে এবং জানতে পারবে নামটি আল ক্বুরআনুল কারীমের কোন সূরার কোন আয়াতে রয়েছ।
৮. ঈমাম আবূ হানীফা(রাহ):ফিকহ শাস্ত্রে তাঁর অবদান:
এটি তাঁর সুদীর্ঘ নয় বছরের গবেষণা। এ কিতাবে তিনি ইমাম আবূ হানীফা (রাহ.) এঁর জীবনী, ইমাম আবূ হানীফা (রাহ.) এঁর বংশ পরম্পরা, সরাসরি সাহাবায়ে কিরাম থেকে ‘ইলম অর্জন ও তাবি‘ঈ হওয়ার প্রমাণ, জ্ঞানার্জনের তৎপরতা, ইমাম আবূ হানীফা (রাহ.) এঁর প্রতি ‘ওস্তাদের বিশেষ ভালবাসা, তীক্ষ্ণ মেধা, প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা, বিশেষ কিছু গুনাবলী, প্রখ্যাত ওস্তাদগণের পরিচয়, গবেষণা ও ফিকহ শাস্ত্রে বুৎপত্তি অর্জন, কর্ম জীবন, অধ্যাপনা জীবন, ইমাম আবূ হানীফা (রাহ.) অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের যুগশ্রেষ্ঠ আল্লাহর অলী ছিলেন, ফিকহ হানাফী: উৎপত্তি ও বিকাশ, বিশ্বে হানাফী মাযহাবের বিস্তৃতি, ফিকহ শাস্ত্রে ইমাম আবূ হানীফা (রাহ.) এঁর অবদান, তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা এবং বিশ্বে ফিকহ হানাফীর প্রভাব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এটি তাঁর পি.এইচ.ডি গবেষণার থিসিস।
৯. Big Bang The False Theory:
বিগ্ ব্যাং থিওরীটি যদিও সর্বমহলে স্বীকৃত হয়েছে কিন্তু তিনি এ গ্রন্থে বিগ ব্যাং থিওরীকে আল ক্বুরআনুল কারীম, হাদীস শরীফ ও বিজ্ঞানের আলোকে ভুল প্রমাণ করেছেন। এ ছাড়া ও বিজ্ঞানে আরো কিছু থিওরীর কঠোর সমালোচনা করেছেন। যা বিজ্ঞানী মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। এটি গবেষণা চলছে।
১০. সবক:
বিশ্ব তা‘লিমে যিকর মানিকগঞ্জ দরবার শরীফে চিশতিয়া ছাবিরিয়া তরীক্বার ২১ টি সবক তা‘লিম দেয়া হয়। সে দূর্লভ সবক সমূহ থেকে এ কিতাবে সূধী পাঠক মহলকে দুটি সবক লিখে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে এ তরীক্বার নতুন সালিকদের কথা বিবেচনা করে এ কিতাবটি রচনা করা, যাতে তারা খুব সহজে সঠিক নিয়মে সবক আদায় করতে পারে।
১১. বিশ্ব তা‘লিমে যিকর পরিচিতি:
২০০৯ সালে বিশ্ব তা‘লিমে যিকর এর পরিচিতি, কার্যক্রম ও ভাবিষ্যৎ পরিকল্পনার কিছু দিক নিয়ে এ কিতাবটি রচনা করেন।
১২. বিশ্ব ইজতিমা কি এবং কেন:
২০১০ সালে এ কিতাবটি রচনা করেন। এতে তিনি বিশ্ব তালিমে যিকরের বিশ্ব ইজতিমা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে মূল বিষয়টি নিয়ে গবেষণামূলক আলোচনা করেছেন।
১৩. জ্ঞানের স্পর্শমণি:
তিনি ২০১০ সালে ‘ইলম মা‘রিফাতের বিখ্যাত কিতাব আইনুল ইলম-র বঙ্গানুবাদ করেন। যা বাংলা ভাষাভাষি মানুষের ইলম মারিফাতের জ্ঞানের সন্জিবনী শক্তি বৃদ্ধি করছে।
১৪. নামায শিক্ষা:
আল্লাহ রাব্বুল ‘আরামীনের পক্ষ থেকে নামায মানুষের জন্য এক মহা নিয়ামত।নামাযে সৃষ্টি তার স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। একমাত্র নামাযের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র মানুষ তার মহাস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের মহাপবিত্র কুদরতী চরণস্পর্শ স্বীয় লালাটে লেপটে ধন্য হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে। যখন কোন মানুষের দেহ বা শরীরের ত্রিশ কোটি কোটি কোষ,মন, হৃদয় এবং আত্মা অত্যধিক পবিত্রতা অর্জন করে এবং খুশূ‘খুযূ‘র সহিত নামায আদায় করে তখন সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর লাভ করে। এ প্রসঙ্গে হুযুর (সা বলেছেন, ‘‘নামায মু‘মিনের নূর স্বরূপ, অন্য হাদীস শরীফে এসেছে, ‘‘নামায ক্বলবের নূর,যার ইচ্ছা সে যেন নামায দ্বারা তা আলোকিত করে’’। নামায দ্বারাই মানুষ শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সকল প্রকার কল্যাণ লাভ করতে পরে এ কথা আজ বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। তাই সকলের বেশী বেশী নামায আদায় করা প্রযোজন। এ গ্রন্হে আল ক্বুরআনুল কারীম ও হাদীস শরীফের আলোকে সহীহ শুদ্ধভাবে নামায আদায় করার বিস্তারিত বর্ণনা আলোচনা করা হলো।
১৫. হাক্বীক্বাত:
হাক্বীক্বাত অর্থে মূল সত্তা, স্বমহিমা, বিশুদ্ধ, প্রকৃত ও প্রমাণিত সত্য ইত্যাদি বিষয়কে বুঝায়। পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তথা ইসলামের প্রতিটি বিষয়ের হাক্বীক্বাত রয়েছে। যে কোন বিষয়ের হাক্বীক্বাত অনুধাবন করার মাধ্যমে খুশূ‘খুযূ‘র সাথে সে বিধান পালন করা সম্ভব হয়। তাই প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের হাক্বীক্বাত জানা প্রয়োজন।
এ কিতাবে শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাহ)কর্তৃক লিখিত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ কিতাবের আলোকে অযূ, নামায, রোযা, হজ্জ্ব ও যাকাতের হাক্বীক্বাত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১৬. মাইয়্যিত ও জানাজা:
মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন মানুষ সৃষ্টি করে কিছু সময়ের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাঁর ‘ ইবাদত করার জন্য । সেই সুনির্ধারিত কিছু সময় হলো হায়াত বা আয়ু । এ আয়ু শেষ হয়ে গেলে মানুষকে পুনরায় তার মহাস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের নিকট ফিরে যেতে হয়। এ ফিরে যাওয়ার মাধ্যমকে ইনতিকাল, মৃত্যু বা মরন বলা হয়।মুসলমান মানুষ ইনতিকাল করলে তাকে মরহুম বা মরহুমা বলতে হয়।
প্রিয়জনের ইনতিকাল মানুষকে ভারাক্রান্ত করে এবং তার কল্যাণের জন্য কিছু করার প্রেরণা জাগ্রত করে এটিই স্বাভাবিক। তার কল্যাণের জন্য শরী‘আতসম্মতভাবে সকল কিছুই করা যাবে। নিজ সন্তান বা নিকট আত্মীয়রা দু‘আ, আল ক্বুরআনুল কারীম খতম, মিলদ ও হালকায়ে যিকর মাহফিল ইত্যাদি করা উত্তম।
এ কিতাবে আল ক্বুরআনুল কারীম ও হাদীস শরীফের আলোকে ইনতিকাল করার পরের সকল বিষয় যেমন গোসল করানো, কাফন পরানো , জানাযা,দাফন, কবর এবং যিয়ারত সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সূধী পাঠক মহল মানব জীবনের সবশেষ এবং গুরুত্বপূণ সময়টুকু সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা লাভ করে উপকৃত হবেন।
আবিষ্কার সমূহঃ
মহা ভাবনা প্রতিবিম্ব: (The Great Thought Reflects)
২০০৪ সালে ড. মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব আবিষ্কার করেন মহাভাবনা প্রতিবিম্ব। যা তাঁর পিতার লিখিত ‘মহাভাবনা’ কিতাবের প্রথম অধ্যায়ের ব্যবহারিক উপস্থাপনা (Practical Presentation)।
মহাভাবনা প্রতিবিম্ব নাসা (NASA) ও বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে মহাভাবনায় উল্লেখিত গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, ছায়পথ, নেবুলা, কোয়াসার, পালসার, ইত্যাদির দূর্লভ ছবি সংগ্রহ করে মহাকাশের অবস্থান অনুযায়ী কৃত্রিম মহাকাশ তৈরী করেছেন। এ আবিষ্কারের ফলে মহাস্রষ্টার তুলনায় মানুষ কতটুকু তা খুব সহজে অনুধাবন করা যায়। তাছাড়া গ্রহ নক্ষত্রের গতি ও অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দিয়েছেন। যা মহাকাশ ও পদার্থ বিজ্ঞানের উচ্চতর গবেষণায় তথা এম.এসসি (বাই রিসার্চ) ও পি.এইচ.ডি গবেষকদের যথেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য মহাভাবনা প্রতিবিম্ব বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্ল্যানেটোরিয়াম। এর আগে ১৮৮৮ সালে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিক্যল এসোসিয়েশন ২ ফুট X ২ ফুট আকারের ক্ষুদ্র একটি প্ল্যানেটোরিয়াম তৈরী করেছিল। তারপর ২০০৪ সালের ৯ জুলাই মহাভাবনা প্রতিবিম্ব আবিষ্কার করা হয় যা ১৭ ফুট X ১১ ফুট আয়তনের বিশাল প্ল্যানেটোরিয়াম। তারপর সরকারী ভাবে ২০০৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের তৃতীয় প্ল্যানেটোরিয়াম ভাসানী নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠিত করা হয়। মহাভাবনা প্রতিবিম্ব আবিষ্কারে তাঁর রিসার্চ অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন প্রকৌশলী মুহাম্মাদ রিয়াজুল হক ও মাওলানা মুহাম্মাদ মাহবুব আলম ।
মস্তিস্কের গতি ও গঠন:
ড.মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব ২০০৮ সালে প্রাকৃতিকভাবেই আবিষ্কার করেছেন মস্তিস্কের গতি সম্পর্কিত থিওরী। তাঁর মতে মানুষের মস্তিস্ক তরল পদার্থের মত কারন যখন মস্তিস্ক কাজ করে তখন মস্তিস্কে ভেইব্রেশন সৃষ্টি হয় তাই তরল বা খুব সফট না হলে কোন বস্তুতে ভাইব্রেশন হতে পারে না। কিন্তু যারা সাধারন ডাক্তারী পড়েছে তারা এ তথ্য দিতে পারেনি। তারা মস্তিস্ক নিয়ে কাজ করার সময় মস্তিস্ককে সলিড পেয়েছে। তারপর আমেরিকার মস্তিস্ক বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা যায় মস্তিস্ক যখন মানুষের মাথার ভিতরে থাকে তখন তা তরল অবস্থায় থাকে এবং যখন কোন ভাবে বাতাসের সংস্পর্শে আছে বাতাসের উপাদানের সাথে রিএ্যাকশক করে এটি সলিড হয়ে যায়।
পৃথিবীর ওজন:
২০০৮ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত পৃথিবীর ওজনকে ভুল প্রমান করে দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর উপাদান, অবস্থান ও আয়তনের ভিত্তিতে পৃথিবীর ওজন বের করেছেন ৬ কোটি কোটি কোটি টন। কিন্তু ড. মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহিব প্রমাণ করেছেন পৃথিবীর ওজন আরো অনেক বেশী হবে। তিনি বলেছেন, পৃথিবীর ভিতরে কোন বস্তুর ওজন যেভাবে নির্ণয় করা হয় পৃথিবীর ওজন সেভাবে বা সে ফর্মূলায় নির্ণয় করলে ফলাফল সঠিক হবে না। কারন, পৃথিবী মহশূন্যে ভসমান অবস্থায় রয়েছে। এটি ভাসমান থাকার প্রধান কারন হলো পৃথিবীকে সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র প্রচন্ড বেগে আর্কষন করছে। চর্তুদিক থেকে প্রচন্ড আর্কষনে পৃথিবী মহাশূন্যে ভাসছে। এভাবে অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র ও ভাসছে। কোন বস্তু যখন গতিশীল অবস্থায় থাকে তখন তার সঠিক ওজন পাওয়া যায় না, কারন কোন বস্তু গতিশীল অবস্থায় থাকলে তার ভিতরের বস্তুকনা ও পরমানুগুলো ও গতিশীল থাকে। ফলে পরমানুগুলো গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায় তাই গতিশীল অবস্থার ওজন ও স্থিতিশীল অবস্থার ওজনের বিরাট পার্থক্য রয়েছে । পর্দাথের স্থির অবস্থার ওজনই তার প্রকৃত ওজন। আর তাই প্রচন্ড গতিশীল পৃথিবীর ওজন আর স্থির পৃথিবীর ওজনের পার্থক্য হবে বিরাট ব্যবধানে। অতএব পৃথিবীর ওজন ৬ কোটি কোটি কোটি টন এটি ঠিক নয় এর ওজন আরো অনেক বেশী। তাই পৃথিবীর ওজন কথা বিজ্ঞানীরা লিখলে লিখতে হবে মানুষের আপাত অনুমানে পৃথিবীর ওজন ৬ কোটি কোটি কোটি টন। তাই পৃথিবীর ওজন ৬ কোটি কোটি কোটি টন এটি ভুল।