মহাবিশ্বের মহাস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীন তাঁর হাবীব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা:) কে সিরাজ্জুম্মুনিরা বা প্রজ্জলিত চেরাগ নামে আখ্যা দিয়েছেন। এ চেরাগ কিয়ামত পর্যন্ত সর্বাবস্থায় প্রজ্জলিত থাকবে। নবুয়্যাতের যামানা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু বিলায়াতের যামানা চালু রয়েছে এবং থাকবে ‘ইনশাআল্লাহ’ যুগে যুগে আল্লাহর ‘অলীগণ বিলায়াতের পবিত্র দায়িত্ব পালন করে তা‘লিমে যিকরের মাধ্যমে মানুষের আত্মশূদ্ধি অর্জনের ব্যবস্থা ও তাছাওউফের জ্ঞান দান করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন, যা প্রজ্জলিত চেরাগেরই আলো। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় পাক ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত পীরে কামিল ও মুকাম্মিল, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, অন্যতম মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষক, আধ্যাত্মিক মহাসাধক, কুতুবে আলম অধ্যাপক (অব.) আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেব (রহ.) ১৯৬৫ সালে তা‘লিমে যিকর প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর গত ১৯ নভেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে ৮৮তম বাৎসরিক ইসলামী মহা-সম্মেলনে তা‘লিমে যিকর এর পক্ষ থেকে চিশতিয়া ছাবিরিয়া তরীক্বার তা‘লিমে যিকরের আলো গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব ঐক্য ও বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে বিশ্বের প্রথম ‘ইলমে তাছাওউফের বিশ্ব ইজতিমা’র ডাক দেওয়া হয়েছে, যেখানে দল, মত, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের আত্মশূদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিশ্ব ইজতিমা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ব ইজতিমা।
এ পুস্থিকায় বিশ্ব ইজতিমা‘ কি এবং কেন এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি সূধী পাঠকমহল খুব সহজে বিশ্ব ইজতিমা‘ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন।
ইতি,
মুফতি ড. মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম ছিদ্দিকী
পীর ছহিব, তা‘লিমে ইসলাম,
ছিদ্দিক নগর, মানিকঞ্জ, বাংলাদেশ।
(Please click here for English)