অন্যতম মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষক, আধ্যাত্মিক মহাসাধক কুতুব-উল-আকতাব অধ্যাপক (অব:) আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেব (রহ:) এর স্মরণীয় তাসাউফ সংক্রান্ত অমূল্য নছিহত সম্ভার বা বানী :
* জীবনের প্রথম শাখে যে কোকিল প্রথম ডাকে, হোক সে কুৎসিত কালো, তবু জীবনের আলো।
* নেয়ামতের কদর যে না করে, নেয়ামত তার কাছে থাকে না।
* মুসলমান জাতির সর্বনাশ হয়ে গেল বুদ্ধি খাটাইয়া।
* এবাদতের ভরসা কিন্তু করেন না,এ কিন্তু সার কথা কইলাম।
* আল্লাহপাকের নাম নিয়া যদি এই দেহটাকে পুড়াইয়া দিতে পারেন একবার, দেখবেন কোটি কোটি বছর কবরে আপনার দেহ পড়ে থাকলে একটা পশমও হিবে না।
* প্রায় দেড় হাজার বছর আগে রাসূলুল্লাহ (সা:) কি কথা বলেছেন, যুদ্ধের সময় কোন কথা বলতেন, হযরত আলী (রা:) কে ঘাড়ে করে পানি আনতে বলেছেন। সব কথা আজ ও বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
* হুজুরপাক (সা:) বলেছেন বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মাত্র ৭০ হাজার খাটি ঈমানদার থাকবে,তুমি বসে বসে ভাব তুমি এ পরীক্ষায় টেকো কিনা।
* একটি বাতির আলো হলে বিশ্ব ধরা জ্বলে একটি মানুষ মানুষ হলে বিশ্ব ভুবন চলে।
* একটি কথা তিনি লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সামনে প্রায়ই বলতেন তা হলো আমাকে যদি কেউ কখনো পান খাওয়ার সময় ডান হাতের পরিবর্তে বাম হাতে চুন খেতে দেখেন এবং কোন সুন্নত এমনকি একটি মোস্তাহাবেরও খেলাপ করতে দেখেন তাহলে আমার মুরিদ হয়ে যদি আমাকে সংশোধন করে না দেন তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত ঠেকা (দাবি) থাকবেন।
* আমার একটা অনুরোধ,হাদীস শরীফে যা আছে যেমন আছে এবং কোরআন শরীফে যা আছে যেমন আছে তেমন ভাবেই জীবন চালাতে হবে। এর বাইরে আমার ধারে (নিকট) যে বায়াত (মুরিদ) হইয়া থাকেন কোন বুদ্ধি খাটাইতে পারবেন না, যদি খাটান আমি তার পীর না, সে আমার মুরিদ না।
* মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে ক্রমাগতভাবে এমন উন্নতি করেছে যে, এরপর মানুষ আর মানুষ থাকবে না, খালি জ্ঞানই হবে। যদি কেউ হেটে যায় মানুষ বলবে একটা জ্ঞান হেটে যায়, এত জ্ঞানী মানুষ হবে এরকম হতে হতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে অস্বীকার করবে (নাউযুবিল্লাহ) করতে করতে আবার খুব যদি জ্ঞানী হয় তখন সে ফিরে আবার আল্লাহপাকের কুদরতী পায়ে পরে কান্দা শুরু করবে (আলহামদুলিল্লাহ)।
* কোন শব্দ শুরু হলে সেটা কোথাও যেয়ে শেষ হয় না,যেতেই থাকে, পৃথিবীর অন্য প্রান্তে যেয়েও শেষ হয় না, এভাবে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যায়, যেতে যেতে আল্লাহপাক পর্যন্ত যায়।
* তুমি দেখিতেছ পাহাড়গুলি স্থির হইয়া রহিয়াছে। অথচ উহা মেঘের ন্যায় চলাফেরা করিতেছে।
* দেখলে তাঁরে দেখার মত, সাধনা কি লাগত এত? ভাবলে তাঁরে ভাবার মত, ভাবনা রইত না আর ।
* ছবক হল পীরের জান, নিজের প্রাণ আর আল্লাহকে পাওয়ার সিড়ি।
* পীর চিনে পীর ধর, পীর যদি হবে, নইলে পীরের ধন কত কাল খাবে।
* মানুষের যখন পূর্ণ কাজ করার সুযোগ আসে তখন আসল মানুষটি নীরব হয়ে যায়।
* আখেরাতকে সর্বদা আগে এবং দুনিয়ার কাজকে সর্বদা পিছনে রাখবা।
* বেয়াদবের জন্য দুনিয়া ও নাই আখেরাতও নাই।
* আল্লাহপাকের দয়া পাবার একমাত্র উপায় হল আল্লাহর জিকির।
* কোরআন হাদীসের সার কথা হল আত্মসমর্পন করা।
* একদম মাটি হও গীবত শেকায়েত কইর না, মনে রাইখ নিচু জায়গায় পানি জমে।
* পীর মোর্শেদ যা বলে তা মান, হাসি-ঠাট্রা করে বললেও তা মান।
* আল্লাহকে পাইতে বেশি এলেমের দরকার হয় না,আল্লাহকে ঠিক রাখতে যথেষ্ট এলেমের দরকার।
* মূর্খ লোকের ঈমান কচুপাতার পানি।
* মুরিদ কথার মানে মরে যাওয়া।
* ঘরে যার সম্মান নাই, এ বিশ্বে কোথাও তার সম্মান নাই।
* আমার মুরিদ যারা, পয়সার চিন্তা করবা না,আল্লাহর চিন্তা করবা।
* মন যদি সদা করে গতি বৃথা তব দরবেশ নাম নির্জন বসতি।
* আসলে সকল কাজ সেই জনে করে আপনি করিয়া কাজ, পরের নাম ধরে।
* দূরত্ব গাড়ির চাকায় নয়, দূরত্ব হল মনে।
* চেতন মোর্শেদ পাওয়া যে ভার, নছিবেতে মিলে যার।
* ডিউটি সময়মত করবা, দেকবা তোমার কপাল থেকে ডিউটি মাফ হয়ে গেছে।
* তুমি যদি পুত্রধনে সুখি হতে চাও তাহলে ছেলেকে ধর্মবিদ্যা শিক্ষা দাও।
* পয়সার চিন্তা যারা করে,পয়সা কোনদিন তাদের জুটবে না, আল্লাহর চিন্তা কর, পয়সা পিছে পিছে ঘুরবে।
* আমার মুরিদ যারা, টিভি ঘরে রাখবা না।
* তুমি যা ভাব, তুমি তা নও, তুমি যা চিন্তা কর তুমি তাই।
* এ ভব সাগরে হাঁস হয়ে ভাস, দুনিয়ার চিন্তা যেন গায়ে না লাগে, শুধু জেকের, শুধু জেকের-যদি বাঁচতে চাও।
* যদি হাসরের ময়দানে আমলনামা পরিস্কার রাখতে চাও বেশি বেশি আসতাগফিরুল্লাহ পড়।
* আমার মুরিদ যারা কোন পার্টিতে যাবা না শুধু আল্লাহর পার্টিতে থাকবা।
* সব চাইতে হতভাগ্য ঐ ব্যক্তি, পীরের কাছে থাইকা ও যে দূরে থাকে, কাছে থাকে না।
* নিশ্চয় আছেন একজন যে অর্থে আমরা বুঝি যে অর্থে আমরা খুজি হয়ত তিনি তেমন নন, নিশ্চয় আছেন একজন তাঁর নাম আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
* মর আর বাঁচ,শুক্রবারদিন ১০০ বার দরুদ শরীফ পড়বাই পড়বা।
* প্রেম-ভালবাসা ছাড়া কিছু হবে না।
* মোমেন হওয়ার মানে বেয়াক্কেল হওয়া নয়, সরল হওয়া মানে কর্মহীনতা নয়।
* আল্লাহ পাকের সাথে সংযোগের মুখপাত্র হল-মৃত্যু চিন্তা করা।
* এলেমের যখন মৃত্যু হয়,আলেম তখন আলেম হয়।
* ধর্ম বুঝা আগে ফরজ, আর ধর্ম করা পরে ফরজ, সাধারণ মানুষে ধর্ম করা ফরজ লইয়া আগে টানাটানি করে।
* নিম্নমানের খানা খাও উচ্চমানের চিন্তা কর।
* আদব হল মুরিদের জন্য ফরজ।
* যেখানে লাভের জায়গা সেখানে ক্ষতিরও ভয় থাকে।
* তরিকতপন্থী মানুষের পায়ের নীচে সব সময় পুলছিরাত থাকে।
* যে যত বড় জ্ঞানী,তার পেছনে মনে রাখবেন তত বড় একটা শয়তান আছে।
* জেকের ছাড়া কোন কায়দায়ই আল্লাহপাককে ধরতে পারবেন না।
* আল্লঅহপাক রাব্বুল আলামীন-এর বিধানে রাজি থাকার নাম হল মারেফত।
* দুনিয়ায় যত কানবা, কবরে যাওয়ামাত্র হাসবা, আর দুনিয়ায় যত হাসবা,
* কবরে যাওয়া মাত্র কান্দন শুরু হয়ে যাবে।
* আল্লাহপাকের এক নাম হল-ঈমান। জীবন থাকতে যে মরণ বুঝল তার মত যোগ্য লোক খুব কমই আছে। জীবন থাকতে যে মরণ বুঝল না তার মত হতভাগ্য আর নাই।
* যদি সংশোধন করতে মন চায়,অনুতাপ করতে মনে চায় তবে এখন কর,
* এই মুহূর্তে কর, সর্বদা, অনবরত, প্রতিনিয়ত সংশোধনের তালে থাক।
* পীর না ধরলে মানুষ মানুষ হয় না।
* সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টাকে উপলব্ধি করা জীবনের সবচাইতে পরম পাওয়া।
* দারিদ্রতা কখনো পকেটে থাকে না, দারিদ্রতা থাকে মনে, বিদ্যা থাকে আমলে, বিদ্যা কখনো ব্তে থাকে না।
* মনের মাঝে অনেক বেদনা রাখতে হয়, তবেতো অনেক মানুসের বেদনা সহ্র করার ক্ষমতা হয়।
* উঠ,জাগ,অভিষ্ট সিদ্ধির আগে ক্ষান্ত হঈও না।
* আল্লাহপাককে সঙ্গে করে কবরে না নিয়ে যেতে পারলে খুব মুশকিল হবে, অত্যন্ত মুশকিল হবে, যা তুমি ধারণাই করতে পারবে না।
* দুই জায়গায় কখনো বুদ্ধি খাটাইও না, অন্ধকারকে কখনো বিশ্বাস কর না আর যে সম্বন্ধে তোমার জ্ঞান নাই সেই জায়গায় কখনো জ্ঞান খাটাইও না।
* বেচেঁ আছ এই আশ্চর্য, নাই মোর্শেদের সাহচর্য্য, থাকত যদি একটু ধৈর্য্য,
* ঐশ্বর্য্য আর গায় ধরত না।
* নদীতে কইরা নোঙ্গর বাইতাছ গুদারা নাও জনম ভরা বাইলা তরী তবু না ফুরাইল গাঁও।
* এক ভাল লাভ করতে যেয়ে জীবনের অনেক ভাল ছাড়তে হয়।
* ধর্মের সারকথা হল মানুষ হওয়া।
* তোমার দুর্বল ঈমানের সঙ্গে একটা সবল ঈমানের যোগ কর।
* ক্ষুদা, রাগ, টাকা-পয়সা এই তিন জিনিস পরীক্ষা না করে কারও সাথে বন্ধুত্ব কর না।
* ভবিষৎ যতই সুন্দর হউক অমঙ্গল কইরা দেখ তাকে।
* যার বিবি ছবক (জিকির)করে না, মনে রেখ, তার ঘরে একটা সাপ পাল, সে তোমায় টাইনা জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
* মউতকে যত দূরে জানবে, মারফতকে তত দূরে জানবে।
* মোর্শেদের দরবার হল নিম্নগামী, কোন সময়ই ঊর্ধ্বগামী নয়।
* আল্লাহপাক যা হুকুম করেছেন তা কর আর যা হুকুম করেন নাই তা কইর না,
* তাই তুমি আল্লাহর ওলী হয়ে গেলা।
* বিশ্বাসকে যে ভাল কইরা বিশ্বাস করে এ দুনিয়ায় তার সুখের সীমানা থাকবে না।
* বান্দার চোখের পানির সঙ্গে আল্লাহপাকের সঙ্গে, জেকেরের সঙ্গে আল্লাহপাকের সঙ্গে একটা দারুন রকমের সম্পর্ক আছে।