অযূর নিয়ম ও দু‘আ সমূহ
অযূর নিয়ম
অযূর পূর্বে মিসওয়াক করে বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে প্রথমে অযূর দু’আ পাঠ করে নিয়ত করে অযূ আরম্ভ করতে হবে।
অযূর দু’আ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল ‘আলীয়্যিল ‘আযীম ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলা দীনিল ইসলাম আল্ ইসলামু হাক্কুন ওয়াল কুফরু বাতিলুন, ওয়াল ইসলামু নূরূন ওয়াল কুফরু যুলমাতুন।
অর্থ: সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বমহান আল্লাহর নামে অযূ আরম্ভ করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে দ্বীন ইসলামের উপর রেখেছেন। ইসলাম সত্য এবং আলো বা নূর স্বরূপ আর কুফরী মিথ্যা ও অন্ধকার তুল্য।
অযূর নিয়ত
উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান আতাওয়াদ্বায়া লিরাফ্য়ি‘ল হাদাছি ওয়াছতিবাহাতাছ ছালাতি ওয়াতাক্বাররুবান ইলাল্লাহি তা’আলা।
অর্থ: আমি নাপাকী ও অপবিত্রতা দূর করা, শুদ্ধরূপে নামায পড়া এবং আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে অযূ করছি।
অযূর দু’আ’সমূহ
অযূর নিয়তের পরে হাত ধোয়া, কুলি করা, নাকে পানি দেয়া, ডান হাত ধোয়া, বাম হাত ধোয়া, মাথা মাসেহ করা, কান মাসেহ করা, ডান পা ধোয়া, বাম পা ধোয়া ছাড়াও অযূ সমাপ্তের দু’আ রয়েছে। এ সকল দু’আ অযূ করার সময় পড়া প্রয়োজন । সম্ভব না হলে দরূদ শরীফ পড়বে।
মুখ মন্ডল ধৌত করার দু’আ:
.اللهم بيض وجهي يوم تبيض وجوه وتسود وجوه
আল্লাহুম্মা বাইয়িয ওয়াজহি ইয়াওমা তাবইয়াদ্দ্বূ উজুহুউ ওয়া তাসওয়াদ্দ্বু উজুহ্ (উজুহুন {শেষে ওয়াক্ফ না করলে})
অর্থ: হে আল্লাহ! যেদিন কিছু লোকের চেহারা উজ্জ্বল এবং কিছু লোকের চেহারা মলিন হবে, সেদিন আমার চেহারাকে আপনি আলোকোজ্জ্বল করে দিয়েন।
ডান হাত ধৌত করার দু’আ:
.اللهم اعطني كتابي بيميني وحاسبني حسابا يسيرا
আল্লাহুম্মা আ’তিনী কিতাবী বিইয়ামিনী ওয়া ‘হাসিবনী হিসাবাই ইয়াসিরা (ইয়াসিরান{শেষে ওয়াক্ফ না করলে}).
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার ‘আমলনামা আমার ডান হাতে এবং হিসাব-নিকাশ সহজ করে দিয়েন।
বাম হাত ধৌত করার দু’আ:
اللهم لا تعطني كتابي بشمالي ولا من وراء ظهري.
আল্লাহুম্মা লা তু’ত্বিনী কিতাবী বিশিমালী ওয়ালা মিউ ওয়ারাই যহরী।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার ‘আমলনামা বাম হাতে দিয়েন না।
নাক পরিস্কার করার সময় এ দু’আ পড়বে:
.اللهم ارحني رائحه الجنه ولا ترحني رائحه النار
আল্লাহুম্মা আরি’হনী রই’হাতাল জান্নাতি ওয়া লা তুরি’হনী রই’হাতান নার (নারি{শেষে ওয়াক্ফ না করলে})।
অর্থ: হে আল্লাহ! বিহিশতের সুবাস ও সৌরভ আমাকে দান করেন ও দোযখের দুর্গন্ধ আমাকে অনুভব করিয়েন না।
মাথা মাসেহ করার সময় এ দু’আ পড়বে:
اللهم اظلني تحت ظل عرشك يوم لا ظل الا ظله.
আল্লাহুম্মা আযিল্লিনী তা’হতা যিল্লি ‘আরশিকা ইয়াওমা যিল্লা ইল্লা যিল্লুহ (যিল্লুহু{শেষে ওয়াক্ফ না করলে})
অর্থ: হে আল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন আপনার ‘আরশের ছায়া ভিন্ন আর কোন ছায়া যখন থাকবে না, তখন আপনি আমাকে ‘আরশের ছায়া দিয়েন।
কান মাসেহ করার সময় এ দু’আ পড়বে:
اللهم اجعلني من الذين يستمعون القول فيتبعون احسنه.
আল্লাহুম্মাজ ‘আলনী মিনাল্লাযিনা ইয়াসতামি’উনাল ক্বওলা ফাইয়াত্তাবি’উনা আ’হসানাহ (আ’হসানাহু{শেষে ওয়াক্ফ না করলে})।
অর্থ: হে আল্লাহ! সদুপদেশ শুনে যারা ‘আমল করে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
ঘাড় মাসেহ করার সময় এ দু’আ পড়বে:
اللهم اعتق رقبتي عن النار.
আল্লাহুম্মা আ”তিক্ব রক্ববাতী ‘আনিন নার (নারি{শেষে ওয়াক্ফ না করলে})।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গর্দানকে দোযখের আগুন হতে বাঁচাও।
পা ধৌত করার সময় এ দু’আ পড়বে:
.اللهم ثبت قدمي على الصراط يوم تزل الاقدام
আল্লাহুম্মা ছাব্বিত ক্বদামী ‘আলাস সিরাত্বি ইয়াওমা তাযিল্লুল আক্বদাম (আক্বদামু,{শেষে ওয়াক্ফ না করলে})।
অর্থ: হে আল্লাহ! যেদিন অনেকেই পুলছিরাত হতে পিছলিয়ে পড়ে যাবে সেদিন পনি দৃঢ়পদে পুলছিরাত পার হওয়ার শক্তি দিয়েন।
সংগ্রহঃ নামায শিক্ষা কিতাব থেকে। লেখকঃ হযরত মাওলানা মুফতি আল্লামা ডক্টর মুহাম্মাদ মনজুরুল ইসলাম সিদ্দিকী দাঃবা, পীর সাহেব, তালিমে ইসলাম, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ। মূল কিতাবটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
Lorem Ipsum