নামায আদায়ের বিস্তারিত নিয়ম
তাহিয়্যাতুল অযূ নামায অযূ করার পরের দুই রাক’আত নফল নামাযকে তাহিয়্যাতুল অযূ নামায বলে । হযরত উকবা ইব্ন আমির (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে উত্তমরূপে অযূ করে তারপর পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে দুই রাক’আত নামায আদায় করে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে।’ (সহীহ মুসলিম: ১/১২২) নিম্নে নামায আদায়ের নিয়মগুলো ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হলো: ১. নামাযের জন্য জায়নামাযে
তায়াম্মুম করার নিয়ম
পানির অভাবে বা পানি ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতি বা রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলে পবিত্র হওয়ার জন্য অযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা যায়। শুকনা মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা উত্তম। পাক মাটি, পাথর, ইট, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, বাসনইত্যাদি মাটি জাতীয় জিনিস দ্বারা তায়াম্মুম করা যায়। তায়াম্মুমের নিয়ত -نويت أن أتيمم لرفع الحدث واستباحة للصلوة وتقربا إلى الله تعالى অর্থ: আমি নাপাকী দূর করার জন্য, নামাযের
অযূর নিয়ম ও দু‘আ সমূহ
অযূর নিয়ম অযূর পূর্বে মিসওয়াক করে বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে প্রথমে অযূর দু’আ পাঠ করে নিয়ত করে অযূ আরম্ভ করতে হবে। অযূর দু’আ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল ‘আলীয়্যিল ‘আযীম ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলা দীনিল ইসলাম আল্ ইসলামু হাক্কুন ওয়াল কুফরু বাতিলুন, ওয়াল ইসলামু নূরূন ওয়াল কুফরু যুলমাতুন। অর্থ: সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বমহান আল্লাহর নামে অযূ আরম্ভ করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে দ্বীন ইসলামের উপর
অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ
অযূ ভঙ্গের কারণসমূহ ১. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে মল, মূত্র, বায়ু, বীর্য, ক্রিমি ইত্যাদি বের হওয়া। ২. নিদ্ৰা গেলে অযূ নষ্ট হয়। (দাড়ানো অবস্থায় কিংবা কোন কিছুতে ঠেস না দিয়ে অথবা নামাযের কোন অবস্থায় ঘুমালে অযূ নষ্ট হয় না) অর্থ: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছাহাবীগণ ইশা’র নামাযের অপেক্ষায় মসজিদে থাকতেন। এমনকি নিদ্রার কারণে তাদের মাথা ঝুঁকে যেত। এরপর তাঁরা নামায পড়তেন,
অযূর ফরয/সুন্নাত/মুস্তাহাবসমূহ
অযূ চুম্বক চুম্বকে আকর্ষণ করে। চুম্বক কাঠ, বালু, মাটি বা পানিকে আকর্ষণ করে না। কারণ কাঠ, বালু, মাটি বা পানিতে চুম্বক যে প্রকৃতির অনু তালাশ করে তা নেই। কাজেই যে জিনিস যা আকর্ষণ করে সে জিনিসের কাছে যেতে তার আকর্ষণের অনু হতে হবে। অর্থৎ পবিত্র পবিত্রতাকে আকর্ষণ করে, অপবিত্রতা কখনই পবিত্রতাকে আকর্ষণ করতে পারে না। তাই অযূ পবিত্র নামাযকে এবং