লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ-এর আমল
লা-হাওলাওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ-এর আমল (বেহেশতের রত্নভাণ্ডার) হযরত আবুহুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া ছাল্লাম আমাকে বলিয়াছেন- (লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্) বেশী-বেশী পাঠ কর। কারণ, ইহা জান্নাতের রত্নভাণ্ডার। সুদানের বাসিন্দা, সিরিয়ার মুফতী, উচচ মাৰ্যদা সম্পন্ন তাবেঈ হযরত মাকহুল (রঃ) তাঁহার নিজের উক্তিতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, যে ব্যক্তি ‘লা-হাওলা-ওয়ালা-কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা মাজা মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি’ পাঠ করিবে, আল্লাহপাক তাহার সত্তরটি
আল্লাহর মহব্বত, আল্লাহর ওলীদের মহব্বত ও নেক আমলের তওফিক হাসিলের দোয়া
এমন একটি দোআ যাহার বরকতে আল্লাহপাকের মহব্বত, আল্লাহর ওলীদের মহব্বত হাসিল হয়, যে সকল আমলের উসীলায় আল্লাহর মহব্বত হাসিল হয়, ঐ সকল আমলেরও তওফীক নসীব হয় এবং অন্তরে আল্লাহর মহব্বত জান-মালের মহব্বতের চেয়ে অধিক ও গভীর হইয়া যায় । পিপাসার সময় ঠাণ্ডা পানি যত প্রিয়, আল্লাহর মহব্বত তদপেক্ষা অধিক প্রিয় হইয়া যায় । হযরত আবূ-দারদা (রা.) একজন বিশিষ্ট সাহাবী, যিনি
সর্ব প্রকার পেরেশানী ও অশান্তি হইতে মুক্তির দোয়া
হযরত আনাস (রা.) কর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে-কোন সময় যে-কোন পেরেশানী দেখিতেন, তখন তিনি এই দোয়া পাঠ করিতেন ? উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ূমু বি-রাহমাতিকা আছতাগীছ। অর্থঃ হে চিরঞ্জীব, হে শক্তিধর রণাবেক্ষণকারী ! তােমারই দয়ার উপর ভরসা করিয়া তােমার সাহায্য প্রার্থনা করি । শব্দার্থঃ হাইয়ুনঃ যিনি নিজে (অনাদি-অনন্তে জীবিত) চিরঞ্জীব এবং বাকী সকলেই তাহারই হায়াতের বরকতে
সব রকম আসমানী-যমীনি বালা-মুসীবত ও আকস্মিক (হঠাৎ) বিপদ হইতে হেফাযতের দোয়া
হেফাযতের দোআ ঃ হযরত আবন ইবনে-উসমান (রা.) বলেন, আমি আমার পিতার যবানে শুনিয়াছি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল- বিকাল তিন বার করিয়া এই দোয়া পাঠ করিবে, কেহই এবং কিছুই তাহার কোন রূপ ক্ষতি করিতে পারিবে না । بشير الليالي لايضر مع اسمه شئ في ازي ولا في السماء وهو الشييع العلييه. উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদুররু মা‘আ
ঋণ ও দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা হইতে মুক্তির দোয়া
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা এক ব্যক্তি আসিয়া আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! বহু করয (ঋণ) ও বহু দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, আমি কি তােমাকে এমন একটি দোআ শিখাইয়া দিব না, যাহা পাঠ করিলে আল্লাহপাক তােমার সকল করয পরিশােধ ও সমস্ত দুশ্চিন্তা দূরীভূত করিয়া দিবেন? সে বলিল,
জামে’ দোআ (সর্বমুখী ভালাইর দোয়া)
ইহা এমন একটি দোয়া যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নবুয়তীর ২৩ বৎসর জিন্দেগীর সমস্ত দোয়াই ইহাতে অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে। কারণ, হযরত আবূ-উমামা (রাঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সম্মুখে অনেক-অনেক দোয়া করিয়াছিলেন, কিন্তু আমাদের কয়েক জনের তন্মধ্য হইতে একটি দোয়াও স্মরণ রহিল না। তাই, আমরা আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি তাে অনেক
জান-মাল, দ্বীন-ঈমান ও আওলাদ-পরিজনের হেফাযতের দোয়া
সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করিলে ইহার বরকতে আল্লাহপাক তাহার দ্বীন-ঈমান, জান-মাল, আওলাদ-পরিজনকে হেফাযতে রাখেন এবং আমলকারীর অন্তর ইহাদের ব্যাপারে পেরেশানী ও উদ্বেগ হইতে মুক্ত হইয়া যায়। بسم الله على دين تفيئ وولي وأهلي ومالي বিসমিল্লাহি আলা দ্বীনী ওয়া-নাফছী ওয়া-ওয়ালাদী ওয়া-আহলী ওয়া-মালী। ( কানযুল-উম্মাল ২য় খন্ড, ৬৩৬ পৃষ্ঠা )
সকল বালা-মুসীবত হইতে হেফাযতের ও বৈধ মনােবাঞ্ছা পূরণের ওযীফা
حَسْبِيَ اللَّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ উচ্চারণঃ হাছবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আলাইহি তাওয়াক্বালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযীম। অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট; তিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নাই। এবং তিনি সুমহান আরশের মালিক। হাদীস ও হযরত আবু-দারদা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ফরমাইয়াছেন : যে-ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সাত বার করিয়া
সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের দোয়া
বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহী- শাইঊন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছ্ছামাই ওয়াহু ওয়াছ ছামীউল আলীম। অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান-জমিনের কোন বস্তু ক্ষতি সাধন করতে পারে না। আর তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। ফজিলত: হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আসমানি-যমিনি সকল মুসীবত থেকে হেফাজত করবেন। সুনানে আবুদাউদ : ৫০৮৮।
মাখলুকের সর্বপ্রকার অনিষ্ট ও অপকারিতা হইতে হেফাযতের আমল
হযরত আবদুল্লাহ্ বিন খুবাইব রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, একদা গভীর অন্ধকার রাতে বৃষ্টিপাতের মধ্যে আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম-এর খোঁজে বাহির হইলাম। খুঁজিতে খুঁজিতে তাঁহাকে পাইয়া গেলাম। অতঃপর তিনি ইরশাদ করিলেন, (আবদুল্লাহ্,) তুমি পাঠ করিও। আমি বলিলাম, কি পাঠ করিব ? হুযুর বলিলেন, প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যায় সূরায়ে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন্নাছ প্রতিটি তিনবার